জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে প্রতি সাতজনে একজন বাস্তু হারাবে
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতি সাতজনের একজন বাড়িঘর হারাবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বহুদিনের স্থায়ী ঠিকানা হারিয়ে তাকে চলে যেতে হবে নতুন ঠিকানায়।
আজ বুধবার রাজধানীতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক এক আলোচনা সভায় সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি (সিডিএমপি) প্রকল্পের পরিচালক মো. আবদুল কাইয়ুম এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)।
আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘জলবায়ুর কারণে মানুষের স্থান পরিবর্তনের (স্থানচ্যুতি) বিষয়টি এখন উন্নয়ন না ত্রাণের বিষয় তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। এখনকার মতো ত্রাণ ও ব্যবস্থাপনা দিয়ে আসন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলা করা খুবই কঠিন।’
ইউএনবি জানায়, অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য দেন সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক সংস্থা ন্যানসেন ইনিশিয়েটিভের প্রতিনিধি অধ্যাপক ওয়াল্টার কেলিন। তিনি বলেন, ‘২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল, এ ৫ বছরে সারা বিশ্বে ১৬ কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিজের ঠিকানা হারিয়ে নতুন জায়গায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।’
আফ্রিকা মহাদেশের কথা উল্লেখ করে কেলিন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সরাসরি সংঘর্ষ বা যুদ্ধের ঘটনা ঘটে না। কিন্তু যুদ্ধ বা সংঘর্ষ জলবায়ু পরিবর্তনের অনেক প্রভাবের একটি।’
দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতির প্রশংসা করে কেলিন বলেন, ‘দুর্যোগে সতর্ক করার বিষয়টি বাংলাদেশে খুবই শক্তিশালী।’
বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সমস্যার দায়ভার উন্নত দেশগুলোকেই নিতে হবে। ঐতিহাসিকভাবেই এ জন্য উন্নত দেশগুলো দায়ী।’
জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট সমস্যা মোকাবিলায় পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুল করিম, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইডের এ দেশীয় পরিচালক ফারাহ কবির প্রমুখ।