ধর্ষণে বাধা, হরিজন তরুণীকে পিটিয়ে হত্যা!
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুতাংয়ে ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় হরিজন সম্প্রদায়ের এক তরুণীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাইলু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় ওই তরুণীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
হরিজন সম্প্রদায়ের ওই পরিবারের অভিযোগ, সদর উপজেলার সুতাং ব্রিজসংলগ্ন একটি নির্জন এলাকায় ওই পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। জায়গাটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী। ওই পরিবারের কর্তাব্যক্তি মারা যাওয়ার পর থেকেই তাঁর দুই মেয়েকে নানাভাবে নির্যাতন ও হয়রানি করে আসছিল বখাটে ও নেশাগ্রস্ত সাইলু মিয়া। বিষয়টি নিয়ে নানা সময় মানবাধিকার সংগঠনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু এর পরও তেমন কোনো ফল হয়নি।
গতকাল শনিবার রাত ৩টার দিকে সাইলু মিয়া নেশাগ্রস্ত হয়ে ওই তরুণীর ঘরে প্রবেশ করে তাঁকে নির্যাতনের চেষ্টা করে। বাধা দিলে কাঠের টুকরা দিয়ে পিটিয়ে তরুণীকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন ছোট বোন।
ছোট বোন আরো জানান, এ ঘটনার পর তিনি বিষয়টি শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হায়াতুন-নবী, শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়াতুন-নবী জানান, সাইলু মিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে দুদিন আগে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েই ওই তরুণীর ওপর নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করে। আমরা তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। কাঠটি উদ্ধার করা হয়েছে।’
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা হেলাল আহমেদ বলেন, হরিজন পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে এক প্রভাবশালীর নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। সচেতন এলাকাবাসী পাশে না থাকলে অনেক আগেই তাদের ভিটেবাড়ি উচ্ছেদ করে ফেলত। সাইলু মিয়া অনেক দিন ধরেই পরিবারের দুটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।