চেক প্রত্যাখ্যানের মামলা করতে গিয়ে নিজেই কারাগারে
পঞ্চগড়ের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনে তেঁতুলিয়া আমলি আদালত-৪-এ চেক প্রত্যাখ্যানের মামলা করতে গিয়েছিলেন পলাশ হোসেন নামের এক ব্যক্তি। যথারীতি নথিপত্র উপস্থাপনও করেন তিনি। এসব নথি ঘেঁটে অসংগতি পাওয়ায় সন্দেহ হয় বিচারকের। খেসারত হিসেবে কারা হাজতে যেতে হয় বাদী পলাশের।
আজ মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ার আমলি আদালত ৪-এর বিচারিক হাকিম হুমায়ূন কবীর বাদীকে কারা হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চেকে কাটাকাটি, ঘষামাজা (ওভাররাইটিং) ও টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়ে শাহজাহান আলী নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসেছেন পলাশ। দণ্ডবিধির ১৯২,১৯৩,১৯৮,২০৯,২১১ ও ৪৬৫ ধারায় তাঁকে এই সাজা দেওয়া হয়।
পঞ্চগড়ের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আমিনুর রহমান জানান, জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের পলাশ হোসেনের সঙ্গে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তুলশিরহাট এলাকার মো. শাহজাহান আলীর ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে। ব্যবসায়িক পাওনার অংশ হিসেবে পলাশকে তিন লাখ টাকার চেক দেন শাহজাহান। কিন্তু পলাশ সেই চেকে তিনের আগে এক বসিয়ে ১৩ লাখ বানিয়ে ব্যাংকে গিয়ে টাকা উত্তোলন করতে যান। কিন্তু ব্যাংক তাঁর সেই চেক প্রত্যাখ্যান করে। পরে চেক প্রত্যাখ্যানের অভিযোগে পলাশ হোসেন মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ার আমলি আদালতে শাহাজাহান আলীর বিরুদ্ধে চেক প্রত্যাখানের মামলা করতে আসেন। এ সময় আদালত ইংরেজিতে লেখা চেকের মধ্যে কাটাকাটি, ঘষামাজা (ওভাররাইটিং) করে তিনকে ১৩ করা হয়েছে বলে দেখতে পান। একপর্যায়ে আদালত এ মামলা গ্রহণ না করে বাদীর বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ এনে তাঁকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদীর আইনজীবী রমিজুল হক বলেন,
‘যদি চেকের মধ্যে ওভার রাইটিং থেকে থাকে তাহলে যিনি চেক দিয়েছেন,তিনিই এটা করেছেন।’