মসজিদের টাকার হিসাব চাওয়ায় সংঘর্ষ, নিহত ১
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় মসজিদের কমিটি গঠন ও টাকার হিসাব চাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে আমিনুর রহমান (৫৫) নামে এ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের নয়াদিঘি ইসলামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন।
নিহত আমিনুরের বাড়ি নয়াদিঘি ইসলামপুর গ্রামেই। আহতদের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নয়াদিঘি ইসলামপুর গ্রামের ইসলামপুর জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন নুরুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মসজিদের টাকার কোনো হিসাব দিচ্ছেন না। নতুন কমিটিও গঠন করছেন না। সাবেক সেনাসদস্য আমিনুর রহমান জুমার নামাজের পর নুরুল ইসলামের কাছে নতুন কমিটি গঠন করতে বলেন এবং হিসাব চান। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে নুরুল ইসলাম ও তাঁর ভাই নুরনবীসহ পরিবারের লোকজন আমিনুরকে বেধড়ক মারধর করেন। এর জের ধরে উভয় পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই আমিনুর রহমান মারা যান। এ সময় আমিনুরের ভাই মমিনুল ইসলাম (৫০), ছেলে সোহান (২০), নুরুল ইসলামের ভাই নুরনবী (৪০), নুরুল ইসলামের বাবা এমাজউদ্দিন (৭৫), মা নাজিরা বেগম (৬০), স্ত্রী শিরিন আক্তারসহ (৩৫) ১০ জন আহত হন।
বোদা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্তব্যরত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আমিনুরের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পরই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত কয়েকজন পালিয়ে যান। লাঠির আঘাতে আমিনুর মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বোদা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হাবিবুল্লাহ রাসেল।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আবু ছায়েম মিয়া জানান, মসজিদের কমিটি ও আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় নুরুল ইসলামের বাহিনী আমিনুর রহমানকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় এমাজউদ্দিন, নাজিরা বেগম ও শিরিন আক্তারকে আটক করা হয়েছে। হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।