হালকা যানবাহনের জন্য চালু হলো রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক
সড়কধসের পর টানা আট দিন বন্ধ ছিল রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক। অবশেষে আজ বুধবার দুপুরে সড়কটির হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন সিদ্দিক জানিয়েছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে সড়কটি সব ধরনের যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হবে। স্বল্প সময়ে যানচলাচলের জন্য সড়কটি চালু করায় খুশি সাধারণ লোকজন।
গত ১৩ জুন প্রবল বর্ষণে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের শালবাগান এলাকায় ১৫০ মিটার সড়কধসে পড়ে। এর পর থেকে রাঙামাটির সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। পরে বিকল্প সড়ক তৈরির কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর এবং সেনাবাহিনী। এক সপ্তাহ ধরে দিনরাত পরিশ্রমের পর আজ দুপুরে সড়কটি হালকা যান চলাচলের উপযোগী করে খুলে দেওয়া হয়।
সড়কটি চালুর সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন সিদ্দিক, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমিন, রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ওমর ফারুক, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান ও পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান।
মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, ‘আপনাদের আমরা কথা দিয়ে গিয়েছিলাম তিনদিন আগে, এই রাস্তাটা ছোট গাড়ি চলাচলের জন্য তুলে দেব। আল্লাহর অশেষ রহমত। বৃষ্টি হয়েছে এর মধ্যে, তারপরও আমরা আমাদের কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এবং রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে একত্রে মিলে এটা একটা অসাধ্য সাধন করেছি।’
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গত ১৩ তারিখ থেকে আজকে পর্যন্ত চলাচল বন্ধ ছিল, মানুষের যে ভোগান্তি হচ্ছিল, ভোগান্তিটা অ্যাটলিস্ট আজকে থেকে সমাধান হবে ইনশাল্লাহ। যেখানে যেখানে সমস্যা আছে সেই সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে এবং ইনশাল্লাহ ছোট গাড়ির কোনো সমস্যা হবে না।’