শরীয়তপুরে পদ্মার ভাঙন, নড়িয়ার চার দোকান বিলীন
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে শরীয়তপুরে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। গত কয়েকদিনে পদ্মার ভাঙনে বেশ কিছু স্থাপনা, ফসলি জমি, পাকা সড়ক নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
আজ সোমবার ভোর রাতে পদ্মার ভাঙনে নড়িয়ার ওয়াপদা বাজারের চারটি দোকানঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দিশেহারা মানুষ তাদের বসতঘরের আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রবল স্রোতে দেখা দেয়। শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুণ্ডেরচর ইউনিয়নের কলমিরচর গ্রাম ও নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচর ইউনিয়নের ঈশ্বর কাঠি গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভোরে নড়িয়ার ওয়াপদা বাজারের মো.আলী শরীফ, আলী হোসেন চৌকিদার, জীবন খান ও মতিউর রহমান শিকারির দোকান ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া গত সাতদিনে পদ্মার ভাঙনে গ্রামগুলোর প্রায় শতাধিক বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো তাদের বসতঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছে। কেউ কেউ বাড়ির আঙিনায় থাকা গাছ কেটে নিচ্ছে। পরিবারগুলো কোথাও আশ্রয় না পেয়ে পাশের গ্রামগুলোর ফসলি জমিতে খোলা আকাশের নিচে,কেউ কেউ ছাপরাঘর করে থাকছে। ভাঙন আতঙ্কে হুমকিতে পড়েছে ওয়াবদা বাজার, সুরেশ্বর বাজারসহ পদ্মাপারের কয়েক হাজার পরিবার।
ক্ষতিগ্রস্ত ওয়াপদা বাজারের ব্যবসায়ী শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. আলী শরীফ বলেন, গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই। ভোর রাতে নদী ভাঙনে আমার দোকান ঘরটি মালামালসহ নদীগর্ভে চলে গেছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারেক হাসান বলেন, জাজিরার কুণ্ডেরচর থেকে নড়িয়ার সুরেশ্বর লঞ্চঘাট পযর্ন্ত আট হাজার ৯০০ মিটার বাঁধও দেওয়া হবে। এক হাজার ২৯৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে জমা আছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে এ এলাকার ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে।