রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে আবার যানবাহন চলাচল বন্ধ
পাহাড়ধসের পর টানা ৩৩ দিন বন্ধ থাকে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি। গত ১৭ জুলাই সড়কটি চালুর পর আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাত থেকে রাঙামাটিতে ভারি বর্ষণ শুরু হয়। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে ওই সড়কে হালকা যানবাহন (অটোরিকশা ও পিকআপ) চলাচলও বন্ধ করে দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
গত ১২ জুনের প্রবল বর্ষণে পাহাড়ধসে ১৩ থেকে ১৬ জুলাই বন্ধ রাখা হয় রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কটি।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ জানিয়েছে, সড়কটি দিয়ে চলাচলের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে নেওয়া হয়েছে। ভারি বর্ষণের কারণে সদ্য সংস্কার করা সড়টির পানি সঞ্চালন ব্যবস্থা ব্যাহত ও একটি অংশের মাটি স্থানচ্যুত হয়েছে। তাই আগাম নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ দুপুর ২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের খামারপাড়া ও কেসিং এলাকার সড়কে সংকট তৈরি হয়েছে। খামারপাড়ায় সদ্য মাটি ভরাট করা স্থানটির ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ওই সড়কটির মাটির নিচে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় পানি উপচে যাচ্ছে। অন্যদিকে কেসিং এলাকায় ভরাট মাটির কিছু অংশ স্থানচ্যুত হওয়ায় সড়কটিকে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ সময় সড়কের দুই পাশে সওজের লোকজন যানবাহন না চালাতে পরামর্শ দিচ্ছিলেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান বলেন, সাময়িক পদক্ষেপ হিসেবে হালকা যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিগগির জরুরি সংস্কারকাজ শেষে এটি খুলে দেওয়া হবে।
গত ১২ জুন থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণে রাঙামাটি শহর ও চারটি উপজেলায় অন্তত ১২০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন দুই শতাধিক মানুষ। এ সময় প্রায় তিন হাজার বসতবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। সড়কধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক। বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে এক সপ্তাহ পর হালকা যান চলাচল শুরু হলেও রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে ৩৩ দিন পর শুরু হয় হালকা যানবাহন চলাচল। এখনো বাস কিংবা ট্রাক চলাচল করতে না পারায় কার্যত সারা দেশের পরিবহন ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্নই আছে পার্বত্য এই শহরটি।