বিশ্বজিৎ হত্যায় দুজনের ফাঁসি বহাল হাইকোর্টে
দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় দুজনের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এ মামলায় আটজনের ফাঁসির রায় দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত।
আজ রোববার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া দুজন হলেন রফিকুল ইসলাম শাকিল ও রাজন তালুকদার। এ ছাড়া নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত চারজনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং দুজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন— রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার ও মীর মো. নূরে আলম লিমন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন—এ এইচ এম কিবরিয়া, ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসান।
নিম্ন আদালতের রায়ের বিষয়ে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে অনুমতির জন্য আবেদন) ও আসামিদের করা আপিলের রায় আজ ঘোষণা করা হলো।
বহুল আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত।
২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত হয়।
বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ মার্চ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২১ আসামির মধ্যে আটজন কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে নির্মম খুনের শিকার হন দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন বলে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারে বিশ্বজিতের দর্জি দোকান ছিল। তিনি থাকতেন লক্ষ্মীবাজার এলাকায়। গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর।