‘মুক্তিযুদ্ধের পরও যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয় বীরঙ্গনাদের’
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/07/15/photo-1436972157.jpg)
মুক্তিযদ্ধের পর এতগুলো বছর পার হয়ে গেলেও এখনো যুদ্ধ করেই বেঁচে থাকতে হয় বীরঙ্গনাদের। আজ বুধবার সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনায় এ কথা বলেন বীরঙ্গনা রাহেলা বেগম।
জেলার বীরঙ্গনাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দকে ভাগ করে নিতে আজ বুধবার তাঁদের মধ্যে ঈদের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ অর্থ বিতরণ করেছে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাব।
দুপুরে শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে এ আয়োজন উপলক্ষে আলোচনা সভা হয়। সেখানে স্মৃতিচারণা করে রাহেলা বেগম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর আজ পর্যন্ত অনেক যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়েছে। সমাজের অনেক জায়গাতেই বীরঙ্গনাদের ছোট করে দেখা হয়। তবে সাংবাদিকরা তাঁদের লেখনির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বীরঙ্গনাদের ত্যাগের কথা প্রকাশ করায় সমাজে এখন আমাদের অবস্থান অনেকখানি বদলেছে।’
এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও জেলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমাদের খুব কাছের বন্ধুদের কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে এই সব মায়েদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। আমরা খুব কাছ থেকে দেখেছি, এই মায়েদের চাওয়া-পাওয়াটা খুবই সামান্য। সমাজের সামর্থ্যবান অনেকেই আছেন যাঁরা একটু সদিচ্ছা প্রকাশ করলেই এদের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ানো সম্ভব। সবার সামান্য সহযোগিতার মাধ্যমে বড় কিছু করা সম্ভব। এখানেও আমরা সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।’
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ এইচ এম আনোয়ার পাশা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গাজী শফিকুল ইসলাম শফি। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গাজী আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, খ ম আখতার, জগলুল আহমেদ, বীরঙ্গনা রাহেলা বেগম ও সূর্য বানু।
বক্তারা বলেন, বীরঙ্গনাদের ঋণ শোধ করার ক্ষমতা না থাকলেও তাঁদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া সম্ভব। জেলা প্রেসক্লাবের সদস্যদের ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের প্রশংসা করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে বীরঙ্গনাদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।