মিয়ানমারের দুই সেনাকে হস্তান্তর করল বাংলাদেশ

মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির হাতে অপহরণের পর বাংলাদেশে উদ্ধার হওয়া প্রতিবেশী দেশটির দুই সেনাসদস্যকে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্তে এক পতাকা বৈঠক শেষে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের কাছে এদের হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর করা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দুই সদস্য হলেন ডেপুটি সার্জেন্ট নাইং টুন ও সৈনিক খিন লিটকে।
বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘আরাকান আর্মি অপহরণ করেছিল মিয়ানমারের ওই দুই সেনা সদস্যকে। পরে দেশটির অনুরোধে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশের সীমানায় তাদের উদ্ধার করে বিজিবি। পতাকা বৈঠক শেষে হস্তান্তরের পর বিজিবির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।’
বিজিবি কর্মকর্তা আরো জানান, জুন মাসের প্রথম দিকে বান্দরবানের থানচি উপজেলার বড় মদকে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে সে দেশের একটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালিয়ে দুই সেনাসদস্যকে অপহরণ করে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। পরে অপহৃতদের বান্দরবানের থানছি উপজেলার সাংগু রিজার্ভ ফরেস্টের গভীরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিজিবিকে জানিয়ে তাদের উদ্ধারের আহ্বান জানায় মিয়ানমার।
মিয়ানমারের অনুরোধে ৫ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই টানা ১০ দিন যৌথ অভিযান চালিয়ে সাংগু রিজার্ভ ফরেস্টের দুর্গম এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও বিজিবি।
উদ্ধারদের থানচি বড় মদক ক্যাম্পে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে বান্দরবান সদরে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের ঢাকা হয়ে কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকা ঘুমধুমে নিয়ে আনা হয়। আজ দুপুরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই সীমান্ত দিয়ে তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিবি ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রবিউল ইসলাম। মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিজিপি ১নং সেক্টরের কমান্ডিং অফিসার কই থুই জা।