সাংবাদিক ওবায়দুল হক আর নেই
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, প্রবীণ সাংবাদিক মো. ওবায়দুল হক (৮৭) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ... রাজিউন)। গতকাল রোববার গভীর রাতে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। ওবায়দুল হক পাঁচ ছেলে, দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ওবাইদুল হক চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদীতে টানা ৪০ বছর সাংবাদিকতা করেন। সর্বশেষ দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হিসেবে তিনি অবসরে যান।
আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ওবায়দুল হকের লাশ আনা হয়। সেখানে বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে তাঁকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানায়। প্রেসক্লাবের সামনে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ জোহর নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ও বিকেলে হাটহাজারীর ধলই, কাটিরহাট হাধুরখিল জামে মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।
পেশাগত জীবনে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন এম ওবায়দুল হক। তাঁর মেজ ছেলে সাংবাদিক ইব্রাহিম আজাদ। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন অর রশিদের চাচা।
বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, প্রবীণ সাংবাদিক ওবায়দুল হকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল হকের মৃত্যুতে বাঙালি জাতি একজন সাহসী সাংবাদিককে হারাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন ওবায়দুল হক।’