শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, লাশ মিলল পুকুরে!

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর পুকুর থেকে সিনথিয়া আকতার (৮) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাউসি গ্রামের একটি পুকুরের কচুরিপানার নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
সিনথিয়া ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাউসি গ্রামের সেলিম মিয়ার মেয়ে। সে ফুলছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়ত।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাউসি গ্রামের আহসান হাবীব সিজার (২২) ও একই গ্রামের মাজেদুল ইসলাম কাল্টু মিয়াকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ।
সিনথিয়ার পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সিনথিয়া প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি আসে। এরপর বাড়ির পাশে হোটেলে পরাটা কিনতে যায় সিনথিয়া। কিন্তু সে আর বাড়ি ফেরেনি। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোজাঁখুজি ও মাইকিং করে। তারপরও সিনথিয়ার কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার। শুক্রবার বিকেলে বাড়ির পাশের পুকুরের কচুরিপানা উচু দেখতে পায় স্থানীয়রা। এরপর কচুরিপানার নিচে সিনথিয়া লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে।
সিনথিয়ার দাদা গেলেন্দা শেখ দাবি করে বলেন, সিনথিয়াকে একা পেয়ে প্রতিবেশি সিজার তার সহযোগীদের নিয়ে ধর্ষণ করে। সিনথিয়া ধর্ষণের ঘটনা পরিবারের লোকজনকে জানাতে পারে এ ভয়ে তাকে হত্যার পর লাশ পুকুরের কচুরিপানার নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনায় ফুলছড়ি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান তিনি।
ফুলছড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ওসমান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। শিশু সিনথিয়া ধর্ষণের পর হত্যা নাকি অন্য কোনোভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, শিশু সিনথিয়াকে হত্যায় ঘটনায় এলাকাবাসী ও স্বজনরা ফুঁসে উঠেছে। সিনথিয়াকে হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে এলাকাবাসী ও স্বজনরা। বিক্ষোভ মিছিলটি ফুলছড়ির বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।