বাংলাদেশে আসছে না কেউ, ভারতে যাচ্ছে ৯৭৯
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১১১টি ছিটমহলে জনগণনার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী এসব ছিটমহলের ৯৭৯ জন ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে ভারতের অভ্যন্তরের ৫১টি ছিটমহলের কোনো বাসিন্দা বাংলাদেশে আসার আবেদন করেননি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেন। রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত বলেন, ‘বাংলাদেশের ভিতরে ১১১টি ছিটমহলের জনগণনায় ৪১ হাজার ৪৪৯ জনকে আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৭৯ জন ভারতে যেতে ইচ্ছুক। তাঁরা ১ আগস্ট থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতে যেতে পারবে। এ ছাড়া ভারতের অভ্যন্তরের ৫১টি ছিটমহল থেকে আমরা যে তথ্য পেয়েছি এখন পর্যন্ত ওসব ছিটমহলের কোনো বাসিন্দাই বাংলাদেশে আসতে আবেদন করেননি।’
বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, ‘ছিটমহলগুলো আর আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে না। এগুলো ৩১ জুলাই নিজে নিজেই হস্তান্তর হয়ে যাবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমীন, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. সালাউদ্দিন ও নীলফামারী জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন সংশ্লিষ্ট জেলার অভ্যন্তরে ছিটমহলের জনগণনার তালিকা রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে জমা দেন।
সোমবার ভারতের চ্যাংরাবান্দার দুই দেশের যৌথ জরিপ দল জনগণনার তথ্য-উপাত্ত তৈরি করে। সেখানে ১১১টি ছিটের ভারতে গমণেচ্ছুদের খসড়া তালিকা তৈরি করে রাতেই সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ সমীক্ষাদল ৬ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই ১১ দিন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ভারতীয় ১১১টি ছিটমহলে ভারত ও বাংলাদেশের ৫০টি যৌথ দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালানাগাদ সমীক্ষা করে।