হবিগঞ্জে ট্রলারডুবিতে ৪ লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ৭
হবিগঞ্জের পাথরছড়া এলাকায় খোয়াই নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরো সাতজন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন সদর উপজেলার মানিকারআব্দা গ্রামের অবলা রানী সরকার (৩৫), বানিয়াচং উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মুক্তা রানী দাস ও দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামের ফুল বানু।
নিখোঁজ রয়েছেন বানিয়াচং উপজেলার শাহপুর গ্রামের আঙ্গুরা খাতুন ও তাঁর ছেলে রাকিব মিয়া (৫), বড়কান্দি গ্রামের আলাই মিয়ার মেয়ে নূরজাহান বেগম (৩০), দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামের বাসিন্দা জানু মিয়ার সাত মাসের ছেলেশিশু রুমন মিয়া ও মেয়ে আনিতা আক্তার (৭), লাখাইর এলাকার হালিমা আক্তার (৪০)। হালিমা আক্তার তাঁর বাবার বাড়ি শাহপুর গ্রামে ঈদের দাওয়াতে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় কয়েকজন লোকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চৌধুরী বাজার পৌর ঘাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি যাত্রা শুরু করে। নদীতে বানের পানির স্রোত থাকায় ট্রলারটি দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। একপর্যায়ে ট্রলারটি পাথরছড়া এলাকায় গেলে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় ট্রলারটি উল্টে পানিতে ডুবে যায়। এতে যাত্রীরা পানিতে পড়ে যায়। অধিকাংশ যাত্রী সাঁতার কেটে পাড়ে উঠলেও বৃদ্ধ নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। রাত ৯টার দিকে স্থানীয় লোকজন খোঁজাখুঁজির পর অবলা রানী সরকার ও মুক্তা রানী দাসের লাশ উদ্ধার করেন। তবে এ ঘটনার পর থেকে ট্রলারের চালক আইনাল হককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ট্রলারের যাত্রী চানপুর গ্রামের যুবায়ের মিয়া জানান, ট্রলারটি ছাদের ওপরে ৫০ বস্তা সিমেন্ট ও রডসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী ছিল। স্রোতের মধ্যে ঘোরাতে যাওয়ার সময় হঠাৎ ছাদ ভেঙে ট্রলারটি উল্টে যায়। এ সময় তাঁরা সাঁতার কেটে পাড়ে উঠে আসেন। তাঁর দুজন আত্মীয় নিখোঁজ রয়েছেন।
মক্রমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া জানান, ট্রলারডুবিতে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নিহত ফুলবানু বেগম দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামের। তিনি বালিখাল কৃষি ব্যাংক থেকে বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ ঘটনায় মক্রমপুর ইউনিয়নের চারজন নিখোঁজ রয়েছেন।