পদ্মার ভাঙনে পন্টুন ছিঁড়ে ডুবল ৩ লঞ্চ
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় পদ্মার ভাঙনে পন্টুন ছিঁড়ে তিনটি লঞ্চ ডুবে গেছে। এতে কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন।
আজ সোমবার ভোরের এ ঘটনায় ওয়াবদা-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। রয়েছেন পুলিশের লোকজনও।
স্থানীয়রা জানায়, গতকাল রোববার রাতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসে ‘এমভি মৌচাক-২’ ও ‘মহানগর’ নামে দুটি লঞ্চ। লঞ্চ দুটি আজ ভোর সাড়ে ৪টায় ওয়াপদাঘাটে নোঙ্গর করে। এ সময় অধিকাংশ যাত্রী নেমে যায়।
এ ছাড়া ‘নড়িয়া-২’ নামে আরেকটি লঞ্চ আগে থেকেই ঘাটে নোঙ্গর করা ছিল। ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ করেই পদ্মাপারের একটি বিরাট অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এ সময় পানির তোড়ে দুটি লঞ্চই ঘটনাস্থলে তলিয়ে যায়। ‘এমভি মৌচাক-২’ লঞ্চটি উল্টে গিয়ে ভাসতে ভাসতে সুরেশ্বরের দিকে চলে যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সোহাগ (২৮) নামে এক যুবক বলেন, হঠাৎ করেই পন্টুনে বাঁধা একটি লঞ্চ স্রোতের টানে ডুবে যায়। তখন পন্টুনটি উপরের দিকে উঠে পড়ে। একটু পরে আরেকটি লঞ্চ ডুবে যায়। তারপর তৃতীয়টি বের হয়ে চলে যায়। তিনটি লঞ্চই স্রোতের টানে ডুবেছে।
এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চে নড়িয়া উপজেলার লুনশিং গ্রামের মোহাম্মদ আলী, তাঁর স্ত্রী পারভীন বেগম (২৮), শাশুড়ি ফকরন বেগম (৫০), সাত বছরের শিশু মাহিন ও এক নবজাতক লঞ্চ থেকে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
মোহাম্মদ আলীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। বাকিরা এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ আলীর আত্মীয় মোতালেব মিয়া। তিনি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘাটে আসেন। বোন, মা ও ভাগ্নে-ভাগ্নিদের জন্য আহাজারি করছিলেন।
লঞ্চগুলোর কর্মচারীদের পাশাপাশি আর কোনো যাত্রী ছিল কি না, তা এখনো জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।