স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, দুলাভাই গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে তার দুলাভাই মারুফ হোসেনকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়েটির বাবা মারুফ হোসেনকে একমাত্র আসামি করে সাটুরিয়া থানায় মামলা করলে রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মারুফের বাড়ি পাশের দৌলতপুর উপজেলার কাবশাইল গ্রামে। তিনি ঢাকায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন।
মেয়েটির বাবা জানান, এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ের সঙ্গে মারুফের বিয়ে দিয়েছেন। আর ছোট মেয়ে গ্রামের স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মারুফ স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় বাসা নিয়ে থাকেন। কয়েক মাস আগে মারুফ তাঁর বাড়িতে এসে ছোট মেয়েকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে মারুফ ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ছোট মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ বিষয়টি এত দিন চেপে ছিল মেয়েটি। এরপর ঢাকায় বোনের বাসায় বেড়াতে গেলে মেয়েকে গত মঙ্গলবার আবারও ধর্ষণ করেন মারুফ। পরদিন মেয়ে বাড়ি চলে আসে। মেয়ের কান্নাকাটি ও আচার-আচরণ সন্দেহ হলে স্বজনরা কারণ জিজ্ঞাসা করে তাকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েটি দুলাভাইয়ের কাছে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করে স্বজনদের কাছে। এ ঘটনা শুনেই তিনি (মেয়েটির বাবা) সাটুরিয়া থানায় গিয়ে মারুফকে আসামি করে মামলা করেন।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, মামলার পরপর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মারুফকে গ্রেপ্তার করে। আর মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।