লাইনচ্যুত সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের বগি উদ্ধার
সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগি প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে ট্রেনটির বগি দুটি লাইনে তোলা হলে সিরাজগঞ্জ থেকে ঈশ্বরদী ও ঢাকা পথে ট্রেন লাইন সচল হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম জানান, ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ট্রেনের বগি দুটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা কাজ করার পর বগি দুটি লাইনে তোলা হয়েছে। এরপর থেকেই সিরাজগঞ্জ থেকে ঈশ্বরদী ও ঢাকা রেলপথ সচল হয়।
urgentPhoto
এর আগে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশনের কাছে মাহমুদপুর এলাকায় সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় সিরাজগঞ্জ থেকে ঈশ্বরদী ও ঢাকার পথে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে এ ঘটনায় আহত বা নিহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ হোসেন মাসুম জানান, আজ সকালে ঈশ্বরদী থেকে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা যাওয়ার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মাহমুদপুর এলাকায় এর দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। বৃষ্টিতে স্লিপারের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার একই স্থানে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের পেছনের একটি বগি লাইনচ্যুত হলে বগিটি বাদ রেখেই ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ট্রেনটি। সেদিন রাতেই বগিটি উদ্ধার করা হয়। পরদিন বুধবার রাত ১০টার দিকে রায়পুরে ট্রেনটির ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। পরে ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ইঞ্জিনটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ফের লাইনচ্যুত হয়েছে দুটি বগি।
এদিকে, বারবার ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় এই পথে চলাচলকারী রেলযাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা নবকুমার কর্মকার অভিযোগ করেন, সিরাজগঞ্জ থেকে রেললাইন তুলে নেওয়ার চক্রান্ত হিসেবে ক্ষতিগ্রন্ত লাইন সংস্কার হচ্ছে না। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার কারণে নিরাপদ যাত্রা হিসেবে ট্রেনকে বেছে নেয় সিরাজগঞ্জবাসী। কিন্তু গত চার দিনে তিনবার ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটায় তাঁরা আতঙ্কিত। নবকুমারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন এই রেলপথ সংস্কার না করার কারণেই এমনটা ঘটছে।