নানা অনিয়ম, চট্টগ্রামে মেডিকেল সেন্টারকে জরিমানা
চট্টগ্রামে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহারকারী হাসপাতাল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বুধবার অভিযানের শুরুতেই নগরীর জিইসি মোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া পাহাড়তলীর বিভিন্ন ওষুধের দোকান থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অবৈধ ওষুধ জব্দ করে জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া মুন জানান, রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযানের শুরুতে বেসরকারি হাসপাতাল মেডিকেল সেন্টারের প্যাথলজি বিভাগে মেয়দোত্তীর্ণ ওষুধ ব্যবহার, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ না করা, রেডিওলজি বিভাগে অযোগ্য ও অভিজ্ঞতা ছাড়া লোকবল দিয়ে কাজ করানোর দায়ে জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘ভবিষ্যতে চট্টগ্রামে এ রকম যে ক্লিনিক আছে যারা মেয়াদোত্তীর্ণ প্রোডাক্ট ব্যবহার করে রোগীদের ক্ষতি করছেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে যাব। আমাদের ভোক্তা অধিকার আইনে বলা আছে যে, যদি রোগীর বিপন্নকারী কোনো সেবা গ্রহণকারী কোনো মানুষ বা কারো জীবন বিপন্ন হয় তাহলে আমরা কঠোর অবস্থানে যেতে পারি। আমরা সেখানে দুই লাখ থেকে শুরু করে আরো অনেক বেশি জরিমানা করতে পারি এবং ক্লিনিকগুলাকে যদি আমরা এ রকম স্পেসিফিক পাই অভিযানে গিয়ে যদি আমরা এরকম কোনো অভিযোগ পাই বা প্রমাণ পাই যে ক্লিনিসগুলাতে এভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে যেগুলো রোগীর শরীর জন্য ক্ষতিকর তাহলে আমরা ক্লিনিকগুলা বন্ধ করে দেব এবং তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেব এবং আমাদের এই অভিযান চলতে থাকবে সামনে আর।’
এ ছাড়া নগরীর পাহাড়তলী অলংকার মোড়ে জনতা ফার্মেসিতে যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ করে বিক্রি ও মজুদের দায়ে ২০ হাজার টাকা, মা ফার্মেসিতে ফার্মাসিস্ট না থাকায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তানিয়া মুন আরো জানান, ফার্মেসিতে ২৫ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড তাপমাত্রার নিচে ওষুধ সংরক্ষণ করার নির্দেশনা থাকলেও তা এর থেকে দ্বিগুণ তাপমাত্রায় রাখা হচ্ছে। ফলে মান হারাচ্ছে এসব ওষুধ।