আত্মসমর্পণের পর জেলহাজতে দুই আসামি
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় স্কুলছাত্রী রহিমা আক্তার সোনিয়াকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলার দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আমলি আদালত-৪-এ হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ডবয় মনসুর আলম রাজন ও বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ারের কর্মকর্তা আতিকুর রহমান আতিক। তবে বিচারক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে আজ এ মামলার আসামিরা আত্মসমর্পণ করবেন জানতে পেরে আদালত চত্বরে অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দুই আসামিকে কড়া পুলিশি পাহারায় প্রায় দৌড়ে আদালত থেকে জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
সোনিয়ার স্বজনরা জানান, সোনিয়ার মা অসুস্থ হয়ে বাড়িতে ছিলেন। তিন মাস আগে তার মায়ের জন্য ওষুধ দেওয়ার কথা বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ডবয় রাজন তাকে বাংলালিংকের কর্মকর্তা আতিকের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে রাজন ও পরে আতিক তাকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে। এরপর বিষয়টি কাউকে জানালে ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেওয়াসহ হত্যার হুমকি দিয়ে তিন মাস ধরে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে আসছিল তারা। গত ৯ অক্টোবর ওই ছাত্রী বিষয়টি তার মা ও মামাকে জানায়। এ ঘটনার পর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই ছাত্রীকে বিষয়টি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে রাজন ও আতিক। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করে।
পরিবারের অভিযোগ, ওই ছাত্রী আত্মহত্যার পর ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর রাত পর্যন্ত তার মা সেলিনা আক্তার থানায় একাধিকবার মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি।
পরে গত ১৫ অক্টোবর সোনিয়ার মা সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে আতিক ও রাজনের বিরুদ্ধে তেঁতুলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯-এর ক ধারায় মামলা দায়ের করেন।