আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চান প্রধানমন্ত্রী
আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোনো ধরনের উসকানিতে পা দিয়ে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে বিরোধে গিয়ে এ সমস্যার সমাধান হবে না বলেও মনে করেন তিনি। মন্ত্রিসভার বৈঠকের অনির্ধারিত আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ মনোভাব প্রকাশ করেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশগ্রহণকারী একাধিক সদস্য এনটিভি অনলাইনকে এ কথা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের আলোচনায় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সম্প্রতি মিয়ানমার সফরের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন ছিল। এ প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি না করার পক্ষে মত দেন।
মন্ত্রিসভার একজন সদস্য এনটিভি অনলাইনকে জানান, আলোচনার শুরুতেই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘বর্বর’ মিয়ানমারের হত্যাযজ্ঞের কারণেই লাখ লাখ রোহিঙ্গা তাদের ভিটেমাটি ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। কাজেই মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখা উচিত হবে না। মিয়ানমার যদি হত্যাযজ্ঞ না চালাত, তাহলে রোহিঙ্গাদের এ বাড়তি বোঝা আমাদের ওপর এসে পড়ত না।
মন্ত্রিসভার ওই সদস্য এনটিভি অনলাইনকে আরো বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন- মিয়ানমার আমাদের সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে চেয়েছিল রোহিঙ্গা ইস্যুকে আড়াল করার জন্য। আমরা কিন্তু তা হতে দেইনি। আমরা ধৈর্যের সঙ্গে বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহলের কাছে তুলে ধরেছি। ফলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মত এখন বাংলাদেশের পক্ষে।
মন্ত্রিসভার অনির্ধারিত আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘মন্ত্রিসভার বৈঠকের একপর্যায়ে রোহিঙ্গা ইস্যুটি উঠে আসে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। আমরা বিরোধে যেতে চাই না। বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেই আমরা এ সমস্যার সমাধান করব। যেহেতু আন্তর্জাতিক মত বাংলাদেশের পক্ষে, কাজেই এ সমস্যারা শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’