সাতক্ষীরায় প্রতিবছর ৬৮ হাজার টন মাছ উদ্বৃত্ত
স্থানীয় খাদ্য চাহিদা মিটিয়েও সাতক্ষীরায় প্রতিবছর ৬৮ হাজার মেট্রিক টন মাছ উদ্বৃত্ত থাকে। এর এক-তৃতীয়াংশ বিদেশে রপ্তানি হয়। অবশিষ্ট মাছ চলে যায় দেশের ঘাটতি এলাকায়।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী দিনে আজ সোমবার আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এই তথ্য প্রকাশ করেছে সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য বিভাগ।
আজ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন সদর আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জাতীয় চিংড়িচাষি সমিতির খুলনা বিভাগীয় সভাপতি সাবেক মন্ত্রী ডা. আফতাবউজ্জামান, জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল আহসান, মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুর রাশেদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ, ডা. আবুল কালাম বাবলা, মো. সিরাজুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম ধনি প্রমুখ ।
সভায় বলা হয়, জেলার সাতটি উপজেলার বিভিন্ন নদী, খাল, জলাশয়, পুকুর ও ঘেরে প্রতিবছর গড়ে এক লাখ তিন হাজার টন সাদা জাতের মাছ ও চিংড়ি উৎপাদিত হয়। দৈনিক মাথাপিছু ৫০ গ্রাম মাছ ব্যবহারের হিসাব অনুযায়ী, জেলার ২০ লাখ মানুষের বার্ষিক চাহিদা দাঁড়ায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টনে। ভাইরাস রোধ করে জেলার ৫০ হাজার চিংড়িঘের, ৫৫ হাজার পুকুর, ছোট-বড় ৪৩টি নদী, ৪০৬টি খাল এবং বিল ও বাঁওড়ে আরো পরিকল্পিতভাবে চাষ করা গেলে সাতক্ষীরায় প্রতিবছর উদ্বৃত্ত মাছের পরিমাণ এক লাখ টনে উঠতে পারে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বক্তারা লবণসহিষ্ণু মাছ চাষ ও মিষ্টিপানিতে একই সঙ্গে ধান ও মাছ চাষের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাতক্ষীরার মিষ্টি ও লবণাক্ত উভয় পানির এলাকায় স্বল্প খরচে কাঁকড়া চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে সভায় আরো বলা হয়, দেশ-বিদেশে কাঁকড়ার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাঁকড়ার বাজারমূল্যও চাষির জন্য বেশ সহায়ক। জেলায় মৎস্যচাষির সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার উল্লেখ করে সভায় জানানো হয়, তাদের ওপর ১০ লাখেরও বেশি মানুষ নির্ভরশীল।