বার কাউন্সিল প্রস্তুত, ভোটার তালিকা সংশোধন
বাংলাদেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ আগস্ট। এই নির্বাচনের জন্য এখন পুরোপুরি প্রস্তুত ভোটার তালিকা। সংশোধিত এই ভোটার তালিকায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৩২০ জন।
আজ বুধবার সকালে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চকে এসব কথা জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে এ বিষয়ে দায়ের করা রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেন আপিল বিভাগ।
এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ভোটার তালিকা তৈরি হয়েছে। আদালতকে আমরা অবহিত করেছি নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত।’
এর আগে গত ৯ জুলাই সংশোধিত ভোটার তালিকা ৩০ জুলাই প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।
আগামী ১৩ আগস্ট আইনজীবীদের সনদ প্রদানকারী এই প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনের দিন ধার্য ছিল। তবে সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রস্তুত না হওয়ায় বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের নির্বাচন পেছানোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ জুলাই আদালত ২৬ আগস্ট নির্বাচনের দিন ধার্য করেন।
গত ২৫ মার্চ বার কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল, যাতে ভোটের দিন রাখা হয়েছিল ২০ মে। এরপর ৯ এপ্রিল ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়, যাতে ভোটার সংখ্যা দেখানো হয় ৪৮ হাজার ৪৬৫ জন।
তবে ওই তালিকায় একই নাম একাধিকবার আছে এমন অভিযোগ জানিয়ে বার কাউন্সিলের পাঁচজন নির্বাচিত সদস্য ও ১০১ জন আইনজীবী কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও সচিবকে আলাদা আলাদা চিঠি দেন। পরে ১২ মে এক তলবি সভার মাধ্যমে নির্বাচনের জন্য ২৭ মে নতুন তারিখ ঠিক করা হয়।
তবে ১৭ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ এ নির্বাচনের তফসিল, ভোটার তালিকা এবং ২০০৩ সালের সংশোধিত বার কাউন্সিল আইনের একটি ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দুটি রিট দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২১ মে একটি রুল জারি করে তিন মাসের জন্য বার কাউন্সিল নির্বাচন স্থগিত করে দেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। রুলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সংশোধনী আইন, ২০০৩ এর ৩ নম্বর ধারাকে কেন অবৈধ এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া ২০১৫ সালের বার কাউন্সিলের নির্বাচনের তফসিল কেন বাতিল করা হবে না তা রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।
পরে হাইকোর্টের এই আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিলে আবেদন করেন বার কাউন্সিলের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সচিব আলতাব হোসেন ও প্রার্থীদের পক্ষে আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।