চিরনিদ্রায় শায়িত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ নূরুন্নবী
চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন পাবনার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ নূরুন্নবী। আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটায় পাবনা টাউন হল ময়দানে তৃতীয় জানাজা শেষে তাঁকে আরিফপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে মরহুমের গ্রামের বাড়ি আতাইকুলার কাজীপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে এবং বাদ জুমা পাবনার চাপা বিবির মসজিদে নূরুন্নবীর পৃথক জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জুমার নামাজের পর থেকেই পাবনা টাউন হলে মানুষের ঢল নামতে থাকে। মানুষের উপস্থিতি এমন পর্যায় পৌঁছায় যে টাউন হলের সামনের আবদুল হামিদ সড়কটি আধঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পাবনা টাউন হলের জানাজার আগে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলম ফারুক প্রিন্স, পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নু, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হেলালউদ্দীন আহমেদ, পাবনার জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবীর, পাবনা পৌরসভার মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ, পাবনা প্রেসক্লাব, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট, ঐক্য ন্যাপ সভাপতি রণেশ মৈত্র, মহিলা পরিষদের সভাপতি পূরবী মৈত্র, অনন্দা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি, জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সাবেক সহসভাপতি আবদুল হামিদ মাস্টার, পাবনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাবিবুর রহমান তোতা, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান মাস্টার, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নামজুল হোসেন শাহিন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রকিব হাসান টিপু, সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের সাবেক ভিপি শেখ রাসেল আলী মাসুদ, সাবেক ভিপি আবদুল আজিজ, সাবেক ভিপি মোর্শেদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রফেসর নূরুন্নবীকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পাবনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মহান শোক দিবসের প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য শেষে করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পাবনা সদর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নূরুন্নবী। তাঁর মেজো ছেলে হাবিবুন্নবী হিল্লোল বেলজিয়াম থেকে বৃহস্পতিবার রাতে পাবনায় এসে পৌঁছান। এর আগ পর্যন্ত অধ্যাপক মুহাম্মদ নূরুন্নবীর মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের হিমঘরে রাখা হয়।
অধ্যাপক নূরুন্নবী পাবনা বইমেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি, রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, পাবনা জেলা শাখার সভাপতি, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া পাবনার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষের মৃত্যুর খবরে শহরজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।