রাঙামাটিতে এবার আ.লীগ নেত্রীকে কোপাল দুর্বৃত্তরা
জুরাছড়িতে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা, বিলাইছড়িতে আরেক আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যাচেষ্টার পর এবার রাঙামাটিতে এক নেত্রীকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও মারধর করা হয়।
গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনায় গুরুতর আহত জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ঝর্ণা খীসাকে রাঙামাটি হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গত মঙ্গলবার আহত দুই নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে গতকাল বুধবার বিকেলে বক্তব্যও দিয়েছিলেন ঝর্ণা।
ঝর্ণা খীসার স্বামী জিতেন্দ্র লাল চাকমা জানিয়েছেন, বুধবার গভীর রাতে তাঁদের বিজয়নগর ভালেদীআদাম এলাকার বাসায় কিছু অপরিচিত যুবক ঘরে ঢুকে ঝর্ণা খীসাকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আমরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পরিবারের অন্য সদস্যদের মারধর করে দুর্বৃত্তরা। হামলার আগে বাসার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
এদিকে ঝর্ণা খীসার ওপর হামলার খবর শুনে দলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাঙামাটি শহরে যুবলীগের ডাকা হরতালের মধ্যেই দফায় দফায় মিছিল ও সমাবেশ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে জেলার জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ চাকমাকে হত্যা ও বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাসেল মারমার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে জেলা যুবলীগ এই হরতালের ডাক দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হরতাল পালিত হচ্ছে। হরতালের কারণে সকাল থেকে রাঙামাটি থেকে কোনো প্রকার যানবাহন ছেড়ে যায়নি। অভ্যন্তরীণ নৌরুটেও উপজেলাগুলোর উদ্দেশে কোনো প্রকার লঞ্চ-বোট ছেড়ে যায়নি। শহর অভ্যন্তরে চলাচলের একমাত্র বাহন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলও বন্ধ রয়েছে। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। হরতালের সমর্থনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছে।
হত্যাকাণ্ড ও হামলার জন্য জেলা আওয়ামী লীগ আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে। তবে জনসংহতি সমিতি তা অস্বীকার করে আসছে।