এমপি কেয়ার ওপর হামলা, দুজন রিমান্ডে
হবিগঞ্জের বাহুবলে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সেই সঙ্গে আরো তিনদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রিমান্ড মঞ্জুর করা আসামিরা হলেন বাহুবল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া ও জেলা পরিষদের সদস্য আলাউর রহমান সাহেদ।
আজ রোববার দুপুরে দুই আসামিকে হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৌহিদুল ইসলামের আদালতে হাজির করে জামিন ও রিমান্ড শুনানি হয়। শুনানি শেষে সন্ধ্যায় বিচারক তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিএসআই সিরাজ ও সুজন।
এর আগে গত বুধবার বিকেলে হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম দুই আসামিকে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৌহিদুল ইসলামের আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আদালত ১০ ডিসেম্বর রিমান্ড শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে তারা মিয়া ও সাহেদকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর বাহুবল উপজেলার বেদেপল্লীতে সরকারি অনুদানের চেক হস্তান্তর করতে যান সিলেট-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। ওই অনুষ্ঠানে হামলা চালান তারা মিয়া, সাহেদ ও তাঁদের অনুসারীরা। এ সময় সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরী আহত হন।
পরে ১৮ নভেম্বর রাতে উপজেলার লামাতাসী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর (সাধারণ ওয়ার্ড ১, ২ ও ৩) সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য পারভীন আক্তার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারা মিয়া ও হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য আলাউর রহমান সাহেদ এবং জসিম মিয়াসহ অজ্ঞাত ১৪ থেকে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত ৫ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা থেকে তারা মিয়া ও সাহেদকে গ্রেপ্তার করে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ।
হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি শাহ আলম রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালত একদিনের পুলিশ রিমান্ড ও তিনদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন।