নীলাদ্রি হত্যায় আনসারুল্লাহকে সন্দেহ
অন্য ব্লগারদের হত্যাকাণ্ডের ধরনের সঙ্গে ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় হত্যার মিল থাকায় গোয়েন্দা পুলিশ মনে করছে আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রুপ এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে। আনসার আল-ইসলাম বা আনসার আল-বাংলাদেশ নামে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে তারাই এ হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটাচ্ছে বলে মনে করছে সংস্থাটি। আজ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে নীলাদ্রি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করে এসব কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মুনিরুল ইসলাম।
urgentPhoto
নীলাদ্রি হত্যার তিন দিনের মাথায় এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত দল।
যুগ্ম কমিশনার মুনিরুল ইসলাম জানান, হত্যার ঘটনায় সংগৃহীত মালামাল তাদের হেফাজতে এসেছে, যা এখন ফরেনসিক প্রতিবেদনের জন্য পাঠানো হবে। সম্প্রতি কয়েকজন ব্লগার হত্যার ধরনের সঙ্গে নীলাদ্রি হত্যার মিল থাকায় সংস্থাটি মনে করছে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরাই ক্ষুদ্র ভাগে বিভক্ত হয়ে এই হত্যা ঘটাতে পারে।
মুনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্রাইম সিন ও অন্যান্য সংগৃহীত আলামতের বিশ্লেষণ চলছে। এক্ষেত্রেও আমাদের ধারণা যে আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যরাই এ ঘটনা সংঘটিত করে থাকতে পারে।’
ব্লগার অভিজিৎ রায়ের মামলার তদন্তে বেশ কিছু অগ্রগতির হয়েছে দাবি করে মুনিরুল জানান, গুরুত্বপূর্ণ আলামত ও নথি গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আছে। সাতজনের ছবি ও নাম শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মুনিরুল বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ততার বিষয়ে ডকুমেন্টারি এভিডেন্সসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত সেগুলো আমাদের হাতে এসেছে। অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে আমরা সাতজনকে শনাক্ত করেছি। আসামি গ্রেপ্তার করা গেলেই মামলার তদন্তকাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ হবে বলে আমরা মনে করি।’
নীলাদ্রি হত্যার দায় স্বীকার করে যারা ইমেইল পাঠিয়েছে, তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে জানিয়ে মুনিরুল বলেন, ‘যারা ব্লগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে কুৎসিতভাবে লিখছেন এবং যারা ব্লগারদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন উভয়ের বিষয়েই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’