রাজধানীর হাজারীবাগের ১০টি ট্যানারির বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ট্যানারি সরিয়ে নিতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় ওই ১০ প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে এ রুল জারি করা হয়েছে। 

এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি আশরাফুল ইসলাম ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই ১০ প্রতিষ্ঠানের মালিককে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক হলেন রানা লেদার ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরেফিন সামছুল আলামিন, বুলেট এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সায়েদুল হক মাস্টার, পুবালি ট্যানারির স্বত্বাধিকারী মাহবুবুর রহমান, রুমি লেদার ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ পাঠান, সালেম ট্যানারির আব্দুস সালাম, করিম লেদারের রেজাউল করিম, মহিন ট্যানারির ওয়াদুদ মিয়া, নবীপুর ট্যানারির আব্দুল ওয়াহহাব, এশিয়া ট্যানারির মো. মফিজ এবং প্যারামাউন্ট ট্যানারির এমডি আকবর হোসেন।
 
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। অপর দিকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিবের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রইস উদ্দিন আহাম্মেদ।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, পরিবেশ রক্ষায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার সাভারে ট্যানারি মালিকদের জন্য জায়গা নির্ধারণ করেছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অনেক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে সাভারে চলে গেলেও ১০টি প্রতিষ্ঠান নির্দেশ মানছে না। শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত এ ১০টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন। 

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এর আগে ২০০১ সালে হাইকোর্ট হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো অপসারণের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের ওই  নির্দেশ মতো অনেক প্রতিষ্ঠানকে সাভারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।