ডোবার ঝোপঝাড়ের নিচে ছিল শিশুটির লাশ
হবিগঞ্জের মাধবপুরে নিখোঁজের তিনদিন পরে স্থানীয় একটি ডোবার ঝোপঝাড়ের মধ্যে পাওয়া গেছে সাত বছরের শিশু শাহ পরাণের লাশ।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শিবজয়নগর এলাকার একটি ডোবা থেকে শাহ পরাণের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরাণ ওই গ্রামের মো. সাবাস মিয়ার ছেলে। সে সাতপাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মাধবপুর গ্রামের জালাল মিয়া (২৫) ও তাঁর সহযোগী বড়লেখা উপজেলার আকুল নগরের রাসেল মিয়া (২৫) ওরফে কোপা রাসেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সাতপাড়িয়ার একটি দোকানের সামনে থেকে শিশু মো. শাহ পরানকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায় জালাল মিয়া ও রাসেল মিয়া। সন্ধ্যায় শাহ পরাণ বাড়ি না ফিরলে স্বজনরা তাকে খুঁজতে শুরু করে। পরে রাতে জালাল ও রাসেল মোবাইল ফোনে শাহ পরাণের মুক্তির জন্য দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় পরের দিন অর্থাৎ ৭ জানুয়ারি শাহ পরাণের বাবা সাবাস মিয়া মাধবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
মাধবপুর থানার উপপরিদর্শক মমিনুল ইসলাম জানান, ওই সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা মুক্তিপণ চাওয়া মোবাইল ফোন নম্বর ট্র্যাকিং করে গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে জালাল মিয়া ও রাসেল মিয়াকে বড়লেখা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারকৃতরাই শিবজয়নগর একটি ডোবার পানির নিচে ঝোপঝাড়ের ভেতরে লুকিয়ে রাখা শাহ পরানের লাশ পুলিশকে দেখিয়ে দেয়। পরে সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
মুক্তিপণের দাবিতে শিশু সন্তানকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় শাহ পরাণের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।