‘গণতন্ত্র রক্ষায় এরশাদের ভূমিকা ইতিহাস মনে রাখবে’
৫ জানুয়ারিতে গণতন্ত্র রক্ষায় এরশাদের ভূমিকা ইতিহাস মনে রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিইডি) মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি নির্বাচনে অংশ না নিলে বাংলাদেশের রাজনীতি তৃতীয় শক্তির হাতে চলে যেতো বলেও জানান তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে মাদারীপুরের শিবচর পৌরসভায় চৌধুরী ফাতেমা বেগম পৌর অডিটোরিয়াম ও প্রবাহমান ৭১ ভাস্কর্য উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন এলজিইডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সভায় মন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্র শেষ হইয়া গেল বলে যারা চিল্লাচ্ছে, তারাই কিন্তু গণতন্ত্রের ১২টা বাজাইছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এরশাদ সাহেব যদি তাঁর দল নিয়ে নির্বাচনে অংশ না নিতেন বাংলাদেশের রাজনীতি কোথায় চলে যেতো আপনারা বুঝতে পারতেছেন? বাংলাদেশি রাজনীতি চলে যেত তৃতীয় শক্তির হাতে। তখন আর ডেমোক্রেসি বলে, গণতন্ত্র বলে কোনো জিনিস অন্তত ৫০ বছরের জন্য হারিয়ে যেত।’
খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, ‘এই যে ঐতিহাসিক ভূমিকা জাতীয় পার্টির, এরশাদ সাহেবের নেতৃত্বে রাখছে এই ইতিহাস একদিন মূল্যায়ন করবে। এখন ডেমোক্রেসি নাই বলে যারা ধোয়া তুলতেছে, তাদের জন্মটা কোথায়। বন্দুকের নল দিয়া তাদের জন্ম। কাজেই তারা ডেমোক্রেসির ধোয়া তুলছে।’
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া পদ্মা সেতু নিয়ে যাই বলুক না কেন নির্ধারিত সময়ের আগেই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে। পদ্মা সেতুর প্লানের থেকে কাজ এগিয়ে থাকায় ইতিমধ্যে ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’
শিবচর পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের সাধারণ সম্পাদক, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি নূর-ই আলম চৌধুরী, জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
এ ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিয়াজউদ্দিন খান, শিবচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মুনির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামসুদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোন চৌধুরী ফাতেমা বেগমের নামে এই পৌর অডিটোরিয়াম নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৩ লাখ টাকা। এ ছাড়াও প্রবাহমান ৭১ ভাস্কর্য নির্মাণে ৫৫ লাখ টাকা ও পৌর বাস টার্মিনাল নির্মাণে ১২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। এরপর মন্ত্রী শিবচর হাতির বাগান মাঠের গ্যালারি, শেখ রাসেল পৌর শিশু পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।