বর এলো হেলিকপ্টারে চড়ে
ঘোড়ায় চেপে স্বপ্নের রাজপুত্র এসে নিয়ে যাবে রাজকন্যাকে- গল্পকথায় এ উপমার দেখা হামেশাই মেলে। তবে যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একালের রাজকন্যাদের বিয়ের গল্পেরও আধুনিকায়ন হয়েছে বৈকি! এখন রাজকন্যাদের স্বপ্নের রাজপুত্র আর ঘোড়ায় চেপে নয়, আসেন হেলিকপ্টারে চেপে।
এ কালের এমনই এক রাজপুত্রের দেখা মিলল সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলা সদরে সামাদ স্মৃতি ময়দানে এসে নামল একটি হেলিকপ্টার। চারপাশে ততক্ষণে বেশ ভিড় জমে উঠেছে। কিছুক্ষণ পর আকাশযান থেকে নেমে এলেন বরবেশী এক যুবক। পাশেই অপেক্ষা করছিল ফুল দিয়ে সাজানো বিয়ের গাড়ি। তাতে চড়েই রাজকন্যাকে আনতে চললেন স্বপ্নের রাজপুত্র!
জানা গেছে, হেলিকপ্টারে চড়ে আসা বর কালীগঞ্জ উপজেলার ভাড়াসিমলা ইউনিয়নের হিজলা চণ্ডিপুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম। আর কনে একই উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের হাকিম মোল্লার মেয়ে হাফিজা সুলতানা হীরা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বর আর কনে দুজনেই পেশায় হাইকোর্টের আইনজীবী। রাজধানী ঢাকায় ব্যস্ত জীবন তাঁদের। নাগরিক কর্মব্যস্ততা আর পথের দূরত্বের সময়ঘণ্টি মিলিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার ফুসরত কোথায়? তাই ছুটির দিনে নিজ এলাকায় বিয়ের আয়োজন। আর ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে আসা-যাওয়ায় সময়ও বেঁচে গেল অনেক।
সামাদ স্মৃতি ময়দানে হেলিকপ্টারটি যতক্ষণ ছিল, ততক্ষণই চারপাশে ছিল উৎসুকদের ভিড়। হেলিকপ্টারে করে আসা বর দেখার জন্য আশপাশের অনেকেই ভিড় জমান মাঠে। উৎসুকদের ইচ্ছাপূরণ করে বিয়ে শেষে সন্ধ্যার আগেই কনেকে নিয়ে বর ফের চড়লেন কপ্টারে। বিকট শব্দে আকাশে ওঠে হেলিকপ্টার; আর মেঘের দেশ হয়ে ইট-কাঠ-পাথরের শহরে পাড়ি জমান এ কালের রাজপুত্র আর রাজকন্যা।