খালেদা জিয়ার জন্য মোনাজাতে কাঁদতে কাঁদতে ঢলে পড়লেন মাওলানা
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় আয়োজিত গণঅনশনে কাঁদতে কাঁদতে মোনাজাত করার সময় হঠাৎ করেই পড়ে যান মাওলানা। পরে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাতেই মারা যান তিনি।
মাওলানা কাজল মিয়া (৪০) বাহুবল উপজেলা সদরের উত্তর হামিদনগর আবাসিক এলাকার আবদুস ছমদের ছেলে। তিনি সাতকাপন ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি।
বাহুবল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমাম উদ্দিন সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাহুবল উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগেও অনশনে বসেন নেতাকর্মীরা।
‘অনশন শেষে মাগরিবের আজানের আগে দোয়ার আয়োজন করা হয়। সেখানে আবেগঘন মোনাজাত করেন যুবদল নেতা মাওলানা কাজল মিয়া। একপর্যায়ে অঝোর ধারায় কাঁদতে কাঁদতে তিনি পড়ে যান,’ যোগ করেন ইমাম উদ্দিন সরকার।
বাহুবল উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকদ্দস মিয়া বাবুল আজ বৃহস্পতিবার এনটিভিকে বলেন, ‘সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীরা দ্রুত কাজল মিয়াকে প্রথমে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।’
কাজল মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
রাতেই কাজল মিয়ার লাশ বাহুবলে নিয়ে আসা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় হামিদনগর মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়িতে তাঁর লাশ দাফন করা হবে।
এদিকে কাজল মিয়ার মৃত্যুর খবর বাহুবলে পৌঁছালে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মাওলানা কাজল মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন হবিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ শেখ সুজাত মিয়া, বাহুবল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান চৌধুরী।
এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।