পাহাড়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের দাবি, আটক ৪
বান্দরবানের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ চারজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার ভোর পর্যন্ত সেনাবাহিনী ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) যৌথ অভিযান চলে।
আজ শুক্রবার কক্সবাজারে র্যাব-৭-এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন এসব তথ্য দেন।
মেজর মো. রুহুল আমিন জানান, বান্দরবানের গভীর অরণ্যে ‘সন্ত্রাসী বাহিনীর’ আস্তানায় বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ করে অভিনব পদ্ধতিতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়া সংবাদ আসে র্যাবের কাছে। এরপরই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৪টি বন্দুক, ১১টি শুটারগান এবং দুই হাজার ৩৭টি গুলি উদ্ধার করা হয়। এ সময় চারজনকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, বান্দরবানের লামার ত্রিডেবা গ্রামের তুইসা মং, এক্য মারমা, মিফং মারমা ও চাইনুং মারমা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, আটক ব্যক্তিরা পাহাড়ি এলাকায় খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক চোরাচালান, অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তবে তারা কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে র্যাব।
মেজর মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে তদন্ত করছি, তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি, জিজ্ঞাসাবাদে আমরা উল্লেখযোগ্য কিছু তথ্য পেতে পারব। এর প্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারব তাঁরা রাখাইন কোনো বিচ্ছিন্নবাদী কোনো সংগঠনের কিনা কিংবা এরা আমাদের পার্বত্য অঞ্চলের যেসব সংগঠন আছে অ্যাকটিভ তাদের কোনো সদস্য কিনা।’
মেজর রুহুল আমিন আরো জানান, বান্দরবানের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কয়েকটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকার পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড করছে। আটক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে মিয়ানমারের রাখাইনের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে যোগসূত্র আছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।’