জানা যাবে গোটা বাংলাদেশকেই : তোফায়েল
অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ‘স্বাধীনতা জাদুঘর’ নির্মিত হয়েছে দ্বীপজেলা ভোলায়। জাদুঘরটির স্বপ্নদ্রষ্টা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সেখানে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, আর ঐহিত্যের সবকিছুই। তাই জাদুঘরটিতে প্রবেশ করলে জানা যাবে গোটা বাংলাদেশকেই, এমন দাবি মিউজিয়ামটি প্রতিষ্ঠাতার।
গত ২৫ জানুয়ারি এ জাদুঘরটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আজ শনিবার তা ঘুরে দেখলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি জানান, আগামী মাসে এটি পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করবে।
দ্বীপজেলা ভোলা দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য কিংবা এখানকার মানুষের অবদান বাংলাদেশ শব্দটির সাথে একেবারেই অবিচ্ছেদ্য। এ কাতারে যে নামটি সবার উপরে তিনি ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের নেতা তোফায়েল আহমেদ।
দেশের রাজনীতির এই কিংবদন্তি মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর নিজের দুর্লভ তথ্যচিত্র সংরক্ষণে ভোলার উপশহর বাংলাবাজারে গড়ে তুলেছেন স্বাধীনতা জাদুঘর।
বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে পাকিস্তানের জন্ম, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সব সংগ্রামের যে ঐতিহ্য, যে চিত্র সেটি এখান থেকে দেখতে পারবেন। এটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।’
তোফায়েল আহমেদ আরো বলেন, ‘এখানে গাইড থাকবে। বাংলাদেশ কীভাবে স্বাধীন হয়েছে, কী ত্যাগ করতে হয়েছে কীভাবে ৩০ লাখ মানুষ মাবোন লাঞ্ছিত হয়েছেন, শহীদের মৃতদেহ রাজপথে পড়ে আছে, সব কিছু দেখতে পারবে।’
জাদুঘরটির প্রথম তলার গ্যালারির একপাশে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের দুর্লভ তথ্য ও ছবি। অপর পাশে রয়েছে একটি লাইব্রেরি ও গবেষণাগার। এ ছাড়া একটি মাল্টিমিডিয়া হলরুম। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ আর বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন অডিও-ভিজ্যুয়াল দেখা যাবে সেখানে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় স্থান পেয়েছে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সব গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের আলোকচিত্র।