ধীরে নামছে বন্যার পানি, গৃহহীন শত পরিবার
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে নতুন করে বৃষ্টিপাত না হলেও পানি নামছে খুব ধীর ধীরে। তবে ওই উপজেলায় বড় মেরুং সেতুর পানি নেমে যাওয়ায় তিনদিন পর দীঘিনালার সঙ্গে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার সড়ক যোগাযোগ আজ শনিবার থেকে স্বাভাবিক হয়েছে।
এদিকে বন্যার কারণে উপজেলার দুইটি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে চলে গেছে নিকটবর্তী আত্মীয়স্বজনের বাড়ি। তবে প্রশাসন থেকে আশ্রয় নেওয়া এসব পরিবারকে গতকাল বিকেলে পাঁচ কেজি করে চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি লবণ, আধা কেজি করে তেল বিতরণ করা হয়েছে।
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন আজ সকালে এনটিভি অনলাইনকে জানান, বন্যায় মেরুং বাজারের অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মেরুং ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় হাজার খানেক বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া আমনক্ষেত ও মাছের খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে প্রবল বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজ্যরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলুল জাহিদ পাভেলসহ স্থানীয় নেতারা। গতকাল তাঁরা নৌকাযোগে এসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।