একই দড়িতে ঝুলছিল স্কুলছাত্রী ও দুলাভাইয়ের মরদেহ!
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পূর্ব তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে এক দুলাভাই ও স্কুলপড়ুয়া তাঁর শ্যালিকা এক সঙ্গে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার সকালে বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূর পীরতলা মাঠে একটি কড়ই গাছে এক রশিতে তাদের মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়।
নিহত দুজন হলো মন্টু মোল্লার ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩০) ও সাখাওয়াত মোল্লার মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী কলি।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লিটন জোয়ারদার জানান, বিল্লাল হোসেনের স্ত্রীর নাম পিংকি। তাঁদের দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিল্লাল তাঁর স্ত্রীর ছোট বোন কলির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে প্রেমের খবর জানাজানি হলে প্রতিবেশী দুই পরিবারের মধ্যে গোলযোগ শুরু হয়। তখন বিল্লাল ও কলি বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। কয়েক দিন আগে তাঁদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। এ নিয়ে গ্রামের মাতব্বররা কয়েক দফায় বৈঠক করেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় বিল্লাল ও কলি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় এবং বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূরে পীরতলা মাঠে একটি কড়ই গাছে এক দড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা করে তারা। আজ সকালে তাদের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় গ্রামের লোকজন। এরপর শত শত নারী পুরুষ সেখানে ভিড় করছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ জানান, প্রেমঘটিত কারণে দুলাভাই ও শ্যালিকা এক সঙ্গে আত্মহত্যা করেছে। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে।