পাহাড়ে ‘এক খুনের বদলায় দুই খুন’
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক সদস্যকে গুলি করে হত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিরও (এমএন লারমা) দুই কর্মীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ বলেছেন, ‘দলীয় কেন্দালের কারণে এ তিনটি খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তিনজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।’
নিহতরা হলেন ইউপিডিএফ কর্মী জনি তঞ্চঙ্গ্যা (৪০), জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কর্মী পঞ্চায়ন চাকমা ওরফে সাধন চাকমা (৩০) ও কালোময় চাকমা (২৯)। এর মধ্যে পঞ্চায়ন চাকমার বাড়ি নানিয়ারচর উপজেলার সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নের মগাছড়া গ্রামে এবং তিনি শশী বিকাশ চাকমার ছেলে। কালোময় চাকমার বাড়িও একই এলাকায়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে নানিয়ারচর উপজেলার ২ নম্বর সাবেক্ষ্যং ইউনিয়নের ফরেস্ট অফিস এলাকায় ইউপিডিএফ সদস্য জনি তঞ্চঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত।
ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলার সভাপতি কুনেন্টু চাকমা এ হত্যাকাণ্ডের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (এমএন লারমা) দায়ী করেন।
তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) অন্যতম শীর্ষ নেতা ও নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এসব ইউপিডিএফের মিথ্যা অপপ্রচার, ভাঁওতাবাজি। তারা হত্যা, গুম, খুনের রাজনীতি করে, আমরা নই।’
জনি তঞ্চঙ্গাকে হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পঞ্চায়ন চাকমা ওরফে সাধন চাকমা (৩০) ও কালোময় চাকমাকে (২৯) পেরাছড়া এলাকা থেকে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) নেতা সুদর্শন চাকমা। তিনি এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেন।
সুদর্শন চাকমা আরো বলেন, ‘অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর পঞ্চায়ন চাকমার গলাকাটা লাশ কেঙ্গালছড়ি এলাকায় একটি সেতুর ওপর ফেলে যায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা। কালোময় চাকমার লাশও আজ দুপুরে পাওয়া গেছে।’
এ ব্যাপারে ইউপিডিএফের বক্তব্য জানার জন্য সংগঠনের মুখপাত্র নীরন চাকমাকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।