বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে অবনতি হবে বন্যার
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় থাকায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। এ ধারা আগামী শনিবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, এ সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে।
আজ বুধবার সকালে সংস্থার বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এ দিনের আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর বর্ধিতাংশের অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল পর্যন্ত বিস্তৃত। অপর একটি বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এ দিকে পাউবো জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, শরিয়তপুর, রাজবাড়ী ও মুন্সীগঞ্জ জেলার কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট, সুনামগঞ্জ, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে এবং সাতক্ষীরা জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পাউবোর বন্যা তথ্যকেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ আরো জানানো হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি হ্রাস পাবে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
পাউবোর ৮৫টি পানি মনিটরিং স্টেশনের মধ্যে ৫১টি স্থানে পানি বৃদ্ধি ও ৩৩টি স্থানে পানি হ্রাস পেয়েছে। একটি স্থানে পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। ১৪টি স্থানে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।