ডা. জাফরুল্লাহর বিষয়ে আদেশ ১ সেপ্টেম্বর
আদালত অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদেশের জন্য আগামী ১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ রোববার ট্রাইব্যুনাল ২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও শাহীনুর ইসলাম।
ট্রাইব্যুনালে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পক্ষে অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ ও তাপস কান্তি বল। আবেদনের পক্ষে ছিলেন খান মো. শামীম আজিজ ও মোরশেদ আহমেদ খান।
এর আগে গত ৯ আগস্ট বিচারকদের নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বিচারকদের নিয়ে কটূক্তি করায় গত ১২ জুলাই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনালে স্বশরীরে হাজির করে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এর আগেও আদালত অবমাননার দায়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আসামির কাঠগড়ায় এক ঘণ্টার দাঁড়িয়ে থাকার দণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন ট্রাইব্যুলাল।
ট্রাইব্যুনাল ২-এর তিন বিচারককে ‘মানসিক অসুস্থ’ বলায় গত ৬ জুলাই ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা আনার আবেদন করেন গণজাগরণ মঞ্চের একাংশ ও তিন মুক্তিযোদ্ধা। ট্রাইব্যুনালে আবেদনকারীরা হলেন গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের আহ্বায়ক কামাল পাশা চৌধুরী, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, মুক্তিযোদ্ধা আলী আসগর, মুক্তিযোদ্ধা শেখ নজরুল ইসলাম এবং গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী এফ এম শাহীন।
গত ১০ জুন আদালত অবমাননার দায়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এক ঘণ্টার কারাদণ্ড (এজলাসকক্ষে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা) এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল-২। পরে ট্রাইব্যুনাল থেকে বাইরে বের হয়ে ডা. জাফরুল্লাহ তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রায়কে তিনজন বিচারকের মানসিক অসুস্থতার প্রমাণ বলে কটূক্তি করেন।