এসি আকরামকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র রুবেল হত্যা মামলায় তৎকালীন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. আকরাম হোসেনকে এক সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আপিল বেঞ্চে আরো ছিলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতান, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজউদ্দিন ফকির এবং আকরামের পক্ষে ছিলেন আবদুল বাসেত মজুমদার।
এ বিষয়ে আবদুল বাসেত মজুমদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে সাতদিনের মধ্যে তাঁকে (আকরাম) বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন আপিল বিভাগ।
২০১১ সালের ৫ মে এ মামলায় নিম্ন আদালতের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল মঞ্জুর করে এসি আকরামসহ ১৩ আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। তবে মামলার আরেক আসামি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হায়াতুল ইসলাম ঠাকুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছিলেন হাইকোর্ট।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র শাহীন রেজা রুবেলকে ১৯৯৮ সালের ২৩ জুলাই ডিবির এসআই হায়াতুল ইসলাম ঠাকুরের নেতৃত্বে একটি দল আটক করে। পরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা অবস্থায় রুবেলের মৃত্যু হয়। রুবেলের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার রায়ে বিচারিক আদালত ২০০২ সালের ১৭ জুন এসি আকরামসহ ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া মুকুলি বেগম নামের এক আসামিকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।
বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০২ সালে হাইকোর্টে আপিল করে আসামি পক্ষ। আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায়ে এসি আকরাম, মুকুলি বেগমসহ ১৩ আসামিকে খালাস দিয়ে হায়াতুল ইসলামের সাজা বহাল রাখা হয়।
হাইকোর্টের রায়ের পর ২০১১ সালের ৯ মে কারাগার থেকে মুক্তি পান এসি আকরাম। আজ হাইকোর্টর রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে এসি আকরাম হোসেনকে এক সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।