ফখরুলসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র সংক্রান্ত আদেশ ৬ সেপ্টেম্বর
চলন্ত বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে যাত্রী হত্যার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র সংক্রান্ত আদেশ দিতে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে গত ২৫ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক দীপক কুমার দাস এ অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন।
আজ এ অভিযোগপত্র ঢাকার মহানগর হাকিমের আদালতে উপস্থাপন করা হলে তিনি অভিযোগপত্রের বিষয়ে আদেশ ৬ সেপ্টেম্বর দেবেন বলে জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের জেনারেল রেকর্ডিং অফিসার (জিআরও) এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগপত্রে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সালাউদ্দিন আহম্মেদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সফিকুল ইসলাম মাসুদ, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ ২৯ জনকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর রাজধানীর রমনা থানার ভিআইপি রোডের মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকায় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল বাতিলসহ ১৮ দলীয় জোটের (তৎকালীন) গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ৭২ ঘণ্টা সারা দেশব্যাপী রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের সমর্থনে বিএনপি ও জামায়াতের ২০-৩০ নেতা-কর্মী মিছিল নিয়ে এসে ‘সুপ্রভাত-৪/এ’ (ঢাকা মেট্রো-জ-১১-২৬৩৯) বাসে পেট্রোলবোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি আইল্যান্ডে উঠিয়ে দেয়। আহত হন বাসের হেলপারসহ বেশ কয়েক যাত্রী।
গুরুতর আহত যাত্রীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক হাবিবুর রহমান নামের এক যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন। বাসযাত্রী অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া তাঁর বাম হাত হারান। রেজাউল করিম ও এহসানুল হাসান নামের দুই বাসযাত্রীকে চিকিৎসার জন্য বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
ওই ঘটনায় ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. জহিরুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন।