জয়নাল হাজারীর খালাসের রায় বাতিল, ফের শুনানির নির্দেশ
দুর্নীতির মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন হাজারীকে দেওয়া হাইকোর্টের খালাসের রায় বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে শুনানি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ শুনানি শেষে এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দীকী।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এ বিষয়ে খুরশীদ আলম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এক কোটি ১৩ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করায় জয়নাল হাজারীকে নিম্ন আদালত ২০০৮ সালে ১০ বছর সাজা দেন। পরে হাইকোর্ট তাঁর সাজা বাতিল করে দেন। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ আপিল বিভাগ তাঁর মামলার পুনরায় শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন এবং হাইকোর্টের খালাস আদেশ বাতিল করেছেন।’
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শীর্ষ ৫০ দুর্নীতিবাজের তালিকায় জয়নাল হাজারীর নাম ছিল। ওই সময় দুদক তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেয়। তিনি পলাতক থাকায় সম্পদের হিসাব দাখিল করতে পারেননি। হিসাব দাখিল না করার মামলায় ফেনীর একটি বিশেষ আদালত তাঁকে তিন বছর এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তাঁকে ১০ বছর সাজা দেন। এই ১০ বছর সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন ২০০৯ সালে। ২০১১ সালে ওই আপিলের শুনানি করে ১০ বছরের সাজা বাতিল করে দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক।
জয়নাল হাজারীর বিরুদ্ধে অস্ত্র, হত্যা, দুদকের দুটিসহ মোট ২৭টি মামলা ছিল। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে পাঁচটি মামলায় তাঁকে সাজা দেওয়া হয়। দুদকের একটি মামলায় তাঁকে ১০ বছর সাজা দেওয়া হয়। পরে এসব মামলায় তাঁকে হাইকোর্ট বিভিন্ন সময় খালাস দেন। এ ছাড়া ২১টি মামলায় নিম্ন আদালত থেকে তিনি খালাস পান।