খালেদা জিয়ার অভিযোগপত্রের বিষয়ে আদেশ ২ নভেম্বর
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে যাত্রী হত্যার দুই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার বিষয়ে আদেশ আগামী ২ নভেম্বর।
আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় দাখিল করা অভিযোগপত্র উত্থাপন করা হয়। পরে মহানগর হাকিম শাহরিয়ার মাহমুদ আদনান এ বিষয়ে আদেশ দেন।
গত ৫ মে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের দুই মামলায় পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) বশির আহমেদ।
পরবর্তী সময়ে গত ১৯ মে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আরেকটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবির অপর এসআই জাহিদুল ইসলাম।
অভিযোগপত্রের তিনটিতে খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। অন্যদিকে খালেদা জিয়াসহ পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অভিযোগপত্রে থাকা অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বরকত উল্লা বুলু, আমান উল্লাহ আমান, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, শওকত মাহমুদ, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, সাবেক এমপি সালাহ উদ্দিন আহমেদ, তাঁর ছেলে তানভীর ওরফে রবিন, নবীউল্লাহ নবী, কাইয়ুম কমিশনার, লতিফ কমিশনার এবং পেশাজীবী দলের নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া।
এ ছাড়া ৪২ আসামির বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো তথ্য না পাওয়ায় তাঁদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।
গত ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা ছোড়া হলে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামক এক বৃদ্ধ যাত্রী।
এ ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন থানার এসআই কে এম নুরুজ্জামান।
অন্যদিকে একই ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/২৫(ঘ) ধারায় দায়ের করা হয় আরো একটি মামলা।
মামলা দুটিতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির ১৮ নেতার নাম উল্লেখ করা হয়।