কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বাড়লেও তা এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার শতাধিক গ্রাম, চর ও দ্বীপচর।
বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই আবারও নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয়রা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার চর ভেলাকোপা গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, ‘ধরলা নদীর পানি হঠাৎ করে আবার বেড়ে যাওয়ায় ঘর-বাড়ি পুনরায় তলিয়ে গেছে। ছেলেমেয়ে, গরু-ছাগল নিয়ে উঁচু জায়গায় অবস্থান করছি। এখন পর্যন্ত কেউ খোঁজ নিতে আসে নাই।’
জেলা প্রশাসন থেকে বন্যাকবলিতদের জন্য চাল ও টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে বন্যাকবলিত অনেকের ভাগ্যে কোনো ত্রাণসহায়তা মেলেনি।
জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন বলেন, এ পর্যন্ত ১৫৯ মেট্রিক টন চাল ও দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় নতুন করে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ৪৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৪ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার এবং কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।