খুলনা সিটিতে স্থগিত ৩ ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষণা
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্থগিত তিনটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী।
এতে ৯ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসেবে বিএনপি-সমর্থিত মাজেদা খাতুন, ১০ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত লুৎফুন নেছা ও ৩১ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ হোসেন মিঠু কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী এই তথ্য জানিয়েছেন।
আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে মহানগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইকবালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের একটি এবং ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লবণচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়সহ মোট তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ করা হয়।
ইকবালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার ছিলেন দুই হাজার ১২৪ জন। এই কেন্দ্রে ভোটের মাধ্যমে সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলরের ভাগ্য নির্ধারণ হয়। এখানে বিএনপি সমর্থিত আনারস প্রতীকের প্রার্থী মাজেদা খাতুন ১২ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন। তাঁর নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের রুমা খাতুন ১১ হাজার ৮৬১ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় স্থান এবং আওয়ামী লীগ-সমর্থিত গ্লাস প্রতীকের লিভানা পারভিন আট হাজার ৯৯২ ভোট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন।
গত ১৫ মে খুলনা সিটি নির্বাচনের পর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর হিসেবে বিএনপি-সমর্থিত সমশের আলী মিন্টুকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লবণচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার ছিলেন দুই হাজার ১৬ জন। একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোটার ছিলেন এক হাজার ৬৯১ জন।
এই ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান মিঠু এক হাজার ২০০ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন হেলাল ও তৃতীয় স্থানে ছিলেন মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল। এই দুটি ভোটকেন্দ্রে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত লুৎফুন নেছা ও বিএনপির রোকেয়া ফারুকের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এই দুই কেন্দ্রের ফলাফলের ভিত্তিতে জয়ী হন লুৎফুন নেছা ও আরিফ হেসেন মিঠু।
সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ২২ জন পুলিশের পাশাপাশি তিনজন অস্ত্রধারীসহ ১০ জন আনসার সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া র্যাবের চারটি মোবাইল টিম, পুলিশের তিনটি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স, এক প্লাটুন বিজিবি এবং তিন কেন্দ্রে তিনজন নির্বাহী হাকিম ছিলেন। এ ছাড়া বিজিবির সঙ্গেও একজন নির্বাহী হাকিম ছিলেন।