আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে
পুরো দেশটাকে সরকার কারাগারে পরিণত করেছে। বিরোধীদলকে কোথাও যেতে দেয় না, কিচ্ছু করতে দেয় না। বাংলাদেশ রাজনৈতিক সহনশীলতার দেশ হলেও, বর্তমানে সেই পরিস্থিতি নেই। ভিন্ন রাজনৈতিক দলের মানুষের সঙ্গে এখন সামাজিক সেতুবন্ধনটুকুও রক্ষা করা যাচ্ছে না।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শনিবার ইফতার মাহফিলের আগে অনুষ্ঠিত এক কর্মী সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম।
শরীফুল আলম বলেন, দেশের তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী এবং সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের প্রধান হওয়া সত্ত্বেও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে সরকার আইনি জটিলতায় জেলে আটকে রেখেছে। নিম্ন আদালত জামিন দেয় তো উচ্চ আদালত আটকে দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলন ছাড়া দেশনেত্রীর মুক্তির আর কোনো বিকল্প নেই।
ঈদের পর চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য ভৈরবের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এখন আর পিছু হটার কোনো বিকল্প নেই।
গজারিয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত বাঁশগাড়ি আদর্শ বাজার মাঠে আলহাজ আব্দুস সাদেক রঙ্গিলা মেম্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ভৈরব উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম, সাবেক পৌর মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি হাজি মো. শাহীন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুল হক ভিপি।
স্থানীয়দের মধ্যে বক্তব্য দেন গজারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মানিক মিয়া মেম্বার, উপজেলা বিএনপির সদস্য রফিক মেম্বার, ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রতন মিয়াসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।