আগেও নির্যাতনের অভিযোগ ছিল শাহাদাতের বিরুদ্ধে
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাতের বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগ এবারই প্রথম নয়। এর আগেও এই গৃহকর্মীকেই নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। বিষয়টি থানা পর্যন্তও গড়িয়েছিল।
রাজধানীর পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাদন ফকির আজ সোমবার দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তিন থেকে চার মাস আগে শাহাদাত হোসেনের বাসায় শিশুকর্মী নির্যাতনের খবর পাই আমরা। সেই সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাসায় থাকা গৃহকর্মী হ্যাপিকে পল্লবী থানায় নিয়ে আসা হয়। শিশুটি জানায়, সেখানে তাকে ভাত খেতে দেওয়া হতো না এবং বিভিন্ন রকম নির্যাতন চালানো হতো।’
ওসি আরো বলেন, ‘পরে শিশুটির অভিভাবক হিসেবে তার মামাকে খবর দেওয়া হয়। তিনি এলে আমরা তাঁকে বলি, আপনি অভিযোগ করবেন কি না? আপনি অভিযোগ করলে আমরা ঘটনা তদন্ত করে দেখব। কিন্তু তিনি কোনো অভিযোগ দায়ের করবেন না বলে জানান এবং মেয়েটিকে নিজের জিম্মায় নিয়ে চলে যান। বলে যান যে, ওই বাসায় আর কাজে পাঠাবেন না। কিন্তু পরে কেন আবার মেয়েটিকে ওই বাসায় কাজে পাঠানো হলো, সেটা বলতে পারব না।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এর আগে গতকাল রোববার শরীরে ও চোখে আঘাতের চিহ্নসহ ১১ বছর বয়সী হ্যাপিকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শিশুটির অভিযোগ, সে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের বাসায় গৃহকর্মী ছিল। শাহাদাত ও তাঁর পরিবারের লোকজন তার ওপর নির্যাতন করেছে। হ্যাপি জানিয়েছে, শাহাদাতের পরিবারের নির্যাতনের কারণে সে বাসা থেকে পালিয়েছে। গতকালই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়।
গতকাল রাতেই শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করা হয়। মিরপুরের বাসিন্দা সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে গত রাতে মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন।