সাক্ষ্য দিলেন প্রকৌশলী
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার রাজীব হায়দার শোভন হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার জব্দ তালিকার সাক্ষী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক সাঈদ আহম্মেদের আদালতে সাক্ষ্য দেন রবিউল।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “আদালতে রবিউল ইসলাম বলেছেন, ‘নাফিজ ইমতিয়াজের দেখানো মতে তার কক্ষ হতে একটি বই, একটি ল্যাপটপ এবং নাফিজ ইমতিয়াজের আইডি কার্ড গোয়েন্দা পুলিশ আমার সম্মুখে জব্দ করে, আমি তখন জব্দ তালিকায় স্বাক্ষর করি।”
রবিউল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
এ নিয়ে রাজিব হত্যা মামলায় ৫৫ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে আততায়ীর হাতে নিহত হন রাজীব হায়দার শোভন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ডা. নাজিম উদ্দীন পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরের বছর ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আট আসামি হলেন- নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দিপু (২২), মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬), এহসানুর রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯), নাফির ইমতিয়াজ (২২), সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০), মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)।
এর মধ্যে রানা পলাতক রয়েছেন। বাকি সাত আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।
২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারকাজ শুরু করার নির্দেশ দেন।