নিজামীর আপিলের পরবর্তী শুনানি ৩ নভেম্বর
মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর আপিল শুনানি আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষকে যুক্তিতর্কের বিষয়ে লিখিতভাবে জমা দিতে বলা হয়েছে।
urgentPhoto
আজ বুধবার সকালে আসামিপক্ষের সময় আবেদন খারিজ করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ। এর পর সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
প্রথমে রাষ্ট্রপক্ষে আদালতে আপিলের নথিপত্র (পেপারবুক) উপস্থাপন শুরু করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে নিজামীর পক্ষে আদালতে উপস্থিত হন অ্যাডভোকেট শিশির মনির।
নিজামীর মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ৫ নম্বরে ছিল। সকাল ৯টায় আদালত বসার পর মতিউর রহমান নিজামীর আইনজীবীরা মামলাটি শুনানি ও সময় আবেদনের বিষয়ে উপস্থাপন করলে আদালত বলেন, কার্যতালিকা অনুযায়ী শুনানি শুরু হবে।
এ বিষয়ে মতিউর রহমান নিজামীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, ‘সকালে সময় আবেদন করেছি। আদালত বলেছেন, কার্যতালিকা অনুযায়ী শুনানি শুরু হবে। পরে কার্যতালিকা অনুযায়ী সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুনানি শুরু হয়।’ তিনি আরো জানান, প্রথম দিনের শুনানি শেষে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষকে যুক্তিতর্কের বিষয়ে লিখিতভাবে জমা দিতে বলা হয়েছে।
২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর মতিউর রহমান নিজামীর মামলায় রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
রায়ে ১৬টি অভিযোগের মধ্যে আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ২, ৪, ৬ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে বুদ্ধিজীবী গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, সম্পত্তি ধ্বংস, দেশত্যাগে বাধ্য করার অপরাধে রায়ে নিজামীর ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়।
আটটির মধ্যে বাকি ১, ৩, ৭ ও ৮ নম্বর অভিযোগে আটক, নির্যাতন, হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র ও সংঘটনে সহযোগিতার দায়ে তাঁকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বাকি আট অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে ওই সব অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর দেওয়া এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ২৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। ছয় হাজার ২৫২ পৃষ্ঠার আপিলে ফাঁসির আদেশ বাতিল করে খালাস চেয়েছেন নিজামী। মোট ১৬৮টি কারণ দেখিয়ে এ আপিল করা হয়।