জিএসপি ফিরে পাওয়া সম্ভব : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, ‘পরাশক্তি নয়, কিছু অপশক্তি নিজেদের স্বার্থে আঘাত লাগায় জিএসপি সুবিধা বন্ধ করতে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়িয়েছে।’
urgentPhoto
আজ বুধবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য এ কে এম রহমতুল্লার অনুপস্থিতিতে তাঁর পক্ষে স্বতন্ত্র সদস্য হাজি মো. সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, একটা রাজনৈতিক দলের নেতা যিনি একসময় প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতা ছিলেন তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে বাংলাদেশের জিএসপি বন্ধ করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি সেখানে একটি পত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপিয়েও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অপর একজন ব্যক্তি যিনি আদালতে আইনি লড়াইয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ হারিয়ে তা ফিরে পেতে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন। বিশেষ করে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত টাকা-পয়সা খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের ষড়যন্ত্র করেছে।
‘জিএসপি সুবিধা ছাড়াও বাংলাদেশ আমেরিকার বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে এবং এর মাধ্যমে বছরে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার ট্যাক্স প্রদান করা হয়েছে। জিএসপি সুবিধার আওতায় পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ যে পরিমাণ অর্থ আয় করে তা খুবই নগণ্য। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ মাত্র ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করত। সুতরাং জিএসপি সুবিধার চেয়ে দেশের ভাবমূর্তি আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭১ সালেও আমেরিকা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পক্ষে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। এরপরও আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। পদ্মা সেতুর জন্য আমরা বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ চেয়েছিলাম। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়া তারা আমাদের ঋণ সুবিধা বন্ধ করে দেয়। এরপরও পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ থাকেনি। বাংলাদেশ ছোট দেশ হতে পারে কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রক্ত দিয়ে এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সুতরাং এ দেশের মানুষ কারো কাছে কখনো মাথা নত করবে না।’
সরকারি দলের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে এ দেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নিবে।