যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার এ আদেশ দেন। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহমুদা আক্তার এনটিভি অনলাইনকে জানান, রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমিরুল ইসলাম ইমন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার অপর আসামি সৌরভের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওযায় তাঁকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মাহমুদা আক্তার আরো জানান, বিচারক রায়ে বলেছেন, আসামির মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে (আমিরুল) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। তবে আমিরুল এই ফাঁসির বিরুদ্ধে ৬০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন বলেও জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০১ সালে আয়শা সিদ্দিকার সঙ্গে আমিরুল ইসলাম ইমনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এই দম্পতির একটি ছেলেসন্তান হয়। এরপর আমিরুল তাঁর স্ত্রী আয়েশার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক আদায়ে বিভিন্ন রকম চাপও দিতে থাকেন।
২০০৪ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে যৌতুকের দাবিতে আমিরুল ইসলাম ইমন ও মামলার অপর আসামি সৌরভ ঘুমন্ত আয়েশার গলায় নাইলনের দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর লাশ ঘরের মেঝেতে রেখে দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় আয়েশার বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক আমিরুল ও সৌরভের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্লবী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০-এর ১১ (ক)/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আদালতে আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শামসুল হক তরফদার।